ইকবালের কবিতা / আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল; সম্পাদনা জেহানযেব খাঁন; বাংলা অনুবাদ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম
Material type:

Item type | Current library | Collection | Call number | Copy number | Status | Notes | Date due | Barcode |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
Central Library, University of Rajshahi Rare Book Section | Rare Books | BRA 891.4391092 IKI 2022 (Browse shelf(Opens below)) | C-1 | Not For Loan | Not Found | 32970 |
আল্লামা ইকবালের জীবনী ও পরিচয় :
আল্লামা ইকবাল ৩ জিলকদ ১২৯৪ হিজরী অনুযায়ী ১৮৭৭ সালের ৯ই নভেম্বর শুক্রবার ফজরের আযানের সময় জন্মগ্রহণ করেন। শেখ নূর মোহাম্মদ তার নাম মোহাম্মদ ইকবাল রাখেন। শেখ নূর মোহাম্মদ একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন এবং ধর্মীয় শিক্ষাকেই ছেলের জন্য যথেষ্ট মনে করতেন। ১৮৯৮ সালে ইকবাল বিএ পাশ করেন এবং এম.এ (দর্শন) ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন। এম.এ পাশ করার পর ১৩ই মে ১৮৯৯ সালে অরিয়েন্টাল কলেজে ম্যাকলিওড আরবি পাঠক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯০৪ সালে আরলন্ড ইংল্যান্ডে ফিরে যান এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে আরবি পড়াতে থাকেন। তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ইকবাল নিয়মিতভাবে ক্যামব্রিজ থেকে লন্ডনে যেতেন ১৯০৭ সালের জুলাই মাসে হেডেলবার্গ চলে যান যাতে করে জার্মানি ভাষা মিউনিখ বিশ^বিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধের বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে পারেন কেননা মৌখিক পরীক্ষাটা জার্মানি ভাষাতেই হত। ১৯০৮ সালে লন্ডন থেকে প্রথমবার এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ১৯০৫ সালে “আসারারে খুদি” গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় এবং “রুমুজে বেখুদি” ১৯১৭ সালের শেষের দিকে দিকে সম্পূর্ণ হয়। ৪ঠা ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে পাঞ্জাব বিশ^বিদ্যালয় ইকবালকে সম্মানিক ডি. লিট ডিগ্রি প্রদান করেন। ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল ঠিক ৫টা ১৪ মিনিটে ফজরের আযানের সময় আল্লামা ইকবাল শেষ নিঃশ্বস ত্যাগ করেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত কবি ডক্টর আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল বিংশ শতাব্দীর প্রধান মুসলিম দার্শনিক ছিলেন। ইকবাল মুসিলম বিশ্বের ইসলামী সভ্যতার রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পুনরুজ্জীবনের একজন প্রবক্তা ছিলেন। খুদি ও আত্মা-উপলব্ধি অর্জনের উপদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের কল্পনাকে তার কবিতাবলী এমন এক সময়ে উদ্দীপ্ত করেছে যখন তারা ঔপনিবেশিক ভ‚মিকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিল। তাঁর চিন্তাধারা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো প্রদান করেছিল। তাদের রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক অবস্থার বিষয়ে তার সমালোচনা ও মূল্যায়ন শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের একটি স্বাধীন আবাসভ‚মির জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য করে। আজও তাঁর দর্শন ও কবিতা তুরস্ক থেকে ইরান পর্যন্ত মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদদের অণুপ্রাণিত করে। পক্ষান্তরে তাঁর ফারসি কবিতা থেকে ইকবাল লাহোরী উপনামে অভিগত করে। মূলত উর্দু ও ফারসি উভয় ভাষাতেই সমান দক্ষতার সাথে কবিতা লেখার জন্য ইকবাল কবিদের মধ্যে অনন্য। তাঁর কাজ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের সর্বজনীন ঐতিহ্য। কার্যত, তাঁর বার্তার সার্বজনীনতা এই অঞ্চলের বাইরের ভ‚মিতে তাঁর আহবানকে প্রসারিত করে। ইতিহাসের গতিবিধি ও নীতি, ধর্ম, রহস্যবাদ এবং সমাজের প্রক্রিয়াগুলো বোঝার জন ইকবাল তাঁর অনুসন্ধানকে বিনীতভাবে অন্বেষণ করাই এই বইটির লক্ষ্য। বাস্তাবতার মুখপাত্র আল্লামা ইকবাল এমন একজন ব্যক্তিত্বের নাম যিনি আসন্ন যুগ ও আসন্ন প্রজন্মকে প্রভাবিত করেন। তার চেতনা মিশ্রিত গান যেন উঁচু-নিচু সর্বশ্রেণীর, সর্বভাষার লোকেরা গুণগুণ করে গাইতে থাকে। তিনি তার কবিতায় মানবতার বার্তা উপস্থাপন করেছেন। তার এই বার্তা কোন বিশিষ্ট শ্রেণীর জন্য নয়, বরং পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য, যে প্রভাব আজ অবধি বিদ্যমান।
আল্লামা ইকবালের জীবনী ও পরিচয় :
আল্লামা ইকবাল ৩ জিলকদ ১২৯৪ হিজরী অনুযায়ী ১৮৭৭ সালের ৯ই নভেম্বর শুক্রবার ফজরের আযানের সময় জন্মগ্রহণ করেন। শেখ নূর মোহাম্মদ তার নাম মোহাম্মদ ইকবাল রাখেন। শেখ নূর মোহাম্মদ একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন এবং ধর্মীয় শিক্ষাকেই ছেলের জন্য যথেষ্ট মনে করতেন। ১৮৯৮ সালে ইকবাল বিএ পাশ করেন এবং এম.এ (দর্শন) ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন। এম.এ পাশ করার পর ১৩ই মে ১৮৯৯ সালে অরিয়েন্টাল কলেজে ম্যাকলিওড আরবি পাঠক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯০৪ সালে আরলন্ড ইংল্যান্ডে ফিরে যান এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে আরবি পড়াতে থাকেন। তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ইকবাল নিয়মিতভাবে ক্যামব্রিজ থেকে লন্ডনে যেতেন ১৯০৭ সালের জুলাই মাসে হেডেলবার্গ চলে যান যাতে করে জার্মানি ভাষা মিউনিখ বিশ^বিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধের বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে পারেন কেননা মৌখিক পরীক্ষাটা জার্মানি ভাষাতেই হত। ১৯০৮ সালে লন্ডন থেকে প্রথমবার এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ১৯০৫ সালে “আসারারে খুদি” গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় এবং “রুমুজে বেখুদি” ১৯১৭ সালের শেষের দিকে দিকে সম্পূর্ণ হয়। ৪ঠা ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে পাঞ্জাব বিশ^বিদ্যালয় ইকবালকে সম্মানিক ডি. লিট ডিগ্রি প্রদান করেন। ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল ঠিক ৫টা ১৪ মিনিটে ফজরের আযানের সময় আল্লামা ইকবাল শেষ নিঃশ্বস ত্যাগ করেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত কবি ডক্টর আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল বিংশ শতাব্দীর প্রধান মুসলিম দার্শনিক ছিলেন। ইকবাল মুসিলম বিশ্বের ইসলামী সভ্যতার রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক পুনরুজ্জীবনের একজন প্রবক্তা ছিলেন। খুদি ও আত্মা-উপলব্ধি অর্জনের উপদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের কল্পনাকে তার কবিতাবলী এমন এক সময়ে উদ্দীপ্ত করেছে যখন তারা ঔপনিবেশিক ভ‚মিকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিল। তাঁর চিন্তাধারা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো প্রদান করেছিল। তাদের রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক অবস্থার বিষয়ে তার সমালোচনা ও মূল্যায়ন শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের একটি স্বাধীন আবাসভ‚মির জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য করে। আজও তাঁর দর্শন ও কবিতা তুরস্ক থেকে ইরান পর্যন্ত মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদদের অণুপ্রাণিত করে। পক্ষান্তরে তাঁর ফারসি কবিতা থেকে ইকবাল লাহোরী উপনামে অভিগত করে। মূলত উর্দু ও ফারসি উভয় ভাষাতেই সমান দক্ষতার সাথে কবিতা লেখার জন্য ইকবাল কবিদের মধ্যে অনন্য। তাঁর কাজ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের সর্বজনীন ঐতিহ্য। কার্যত, তাঁর বার্তার সার্বজনীনতা এই অঞ্চলের বাইরের ভ‚মিতে তাঁর আহবানকে প্রসারিত করে। ইতিহাসের গতিবিধি ও নীতি, ধর্ম, রহস্যবাদ এবং সমাজের প্রক্রিয়াগুলো বোঝার জন ইকবাল তাঁর অনুসন্ধানকে বিনীতভাবে অন্বেষণ করাই এই বইটির লক্ষ্য। বাস্তাবতার মুখপাত্র আল্লামা ইকবাল এমন একজন ব্যক্তিত্বের নাম যিনি আসন্ন যুগ ও আসন্ন প্রজন্মকে প্রভাবিত করেন। তার চেতনা মিশ্রিত গান যেন উঁচু-নিচু সর্বশ্রেণীর, সর্বভাষার লোকেরা গুণগুণ করে গাইতে থাকে। তিনি তার কবিতায় মানবতার বার্তা উপস্থাপন করেছেন। তার এই বার্তা কোন বিশিষ্ট শ্রেণীর জন্য নয়, বরং পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য, যে প্রভাব আজ অবধি বিদ্যমান।
There are no comments on this title.